Home BD Old Food পুই শাকের গুনাগুন

পুই শাকের গুনাগুন

by admin

পুই শাকের গুনাগুন

 

কথায় আছে যে, মাছের রাজা রুই আর শাকের রাজা পুঁই।

পুঁইশাক আমাদের দেশের জনপ্রিয় এবং বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি শাক। সবজি বাজারে প্রায় সারবছরই পুঁইশাকের দেখা পাওয়া যায়। এই শাক নানাভাবে রান্না বা ভাজি করে খাওয়া যায়। ইলিশ-পুঁই ও চিংড়ি-পুঁই অনেকের অতি প্রিয় তরকারি। সবুজ ও লাল-এই দুই রঙের হয়ে থাকে পুঁইশাক। সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছে প্রিয়। পুঁইশাকের পুষ্টিগুণের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে।পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘বি`, ‘সি` ও ‘এ` পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রণ আছে। নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে যেমন বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।পুঁইশাক শরীরে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, প্রোটিন, ক্যলসিয়াম ও আয়রনের অভাব পূরণ করে। শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগলে পুইশাক দিয়ে খিচুড়ি রেঁধে নিয়মিত খাওয়ালে অপুষ্টি কেটে যায়া। শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে পুঁইশাক খুবই কার্যকর একটি পথ্য হতে পাবে।

ভিটামিন “বি” “সি” ও “এ” সমৃদ্ধ সবুজ ও লাল এই দুই ধরনের পুঁই শাক আমরা দেখতে পাই। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন।
পুঁই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ যা কোষঠ কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ভিটামিন এ এবং সি ত্বকের রোগ জীবানু দূর করে।চোখের দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে এবং চুল মজবুত রাখে।
পুঁই শাকে আছে অ্যানটি – ইনফ্লামেটরি গুন। শরীরের কোনে অংশ আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁই শাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়। এছাড়াও শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোড়ার সংক্রমনের বিরুদ্ধেও লড়তে পারদর্শী পুঁই শাক।
আসুন এবার জেনে নিই পুঁই শাকের উপকারিতা সম্পর্কে….
১) প্রবাদে আছে-শাকের মধ্যে পুঁই, মাছের মধ্যে রুই। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
২) পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে বাইরে যেতে সাহায্য করে।
৩) পুঁইশাকে বিদ্যমান ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে সেই সাথে চুলকেও মজবুত রাখে।
৪) নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম।
৫) পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৬) যারা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য পুঁইশাক খুব ভালো।
৭) পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এই শাক রোগ প্রতিরোধে বেশ কাজ করে থাকে।
৮) পুঁইশাক দেহ থেকে সঠিক ভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন করে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা দূর করে।
৯) পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। শরীরের কোনো অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।
১০) শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারদর্শী পুঁইশাক।
তাছাড়াও হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পুঁইশাক এর জুড়ি নেই। যাদের প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথা থাকে, নিয়মিত পুঁইশাক খেলে তারা উপকার পাবেন খুব দ্রুত।

You may also like

Leave a Comment