পুই শাকের গুনাগুন
কথায় আছে যে, মাছের রাজা রুই আর শাকের রাজা পুঁই।
পুঁইশাক আমাদের দেশের জনপ্রিয় এবং বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি শাক। সবজি বাজারে প্রায় সারবছরই পুঁইশাকের দেখা পাওয়া যায়। এই শাক নানাভাবে রান্না বা ভাজি করে খাওয়া যায়। ইলিশ-পুঁই ও চিংড়ি-পুঁই অনেকের অতি প্রিয় তরকারি। সবুজ ও লাল-এই দুই রঙের হয়ে থাকে পুঁইশাক। সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছে প্রিয়। পুঁইশাকের পুষ্টিগুণের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে।পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘বি`, ‘সি` ও ‘এ` পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রণ আছে। নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে যেমন বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।পুঁইশাক শরীরে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, প্রোটিন, ক্যলসিয়াম ও আয়রনের অভাব পূরণ করে। শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগলে পুইশাক দিয়ে খিচুড়ি রেঁধে নিয়মিত খাওয়ালে অপুষ্টি কেটে যায়া। শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে পুঁইশাক খুবই কার্যকর একটি পথ্য হতে পাবে।