বাংলাদেশের সব জেলার নাম এর নামকরণ এবং তাদের ইতিহাস সংক্ষেপে লিখলামঃ
- ঢাকা
ঢাকা জেলা, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের জন্য পরিচিত। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ঢাকার নামের ইতিহাস খুবই পুরনো, এবং এটি একসময় এক বিশাল মুঘল শহর ছিল। - চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এর নামের ইতিহাসের মধ্যে একাধিক তত্ত্ব আছে, তবে প্রাথমিকভাবে এটি ছিল একটি বন্দর শহর। - রাজশাহী
রাজশাহী জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। রাজশাহীর নামের ইতিহাস মুঘল সাম্রাজ্যের সময়কালের সাথে সম্পর্কিত, যখন এটি একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। - খুলনা
খুলনা জেলার নাম মূলত খলনা বা খুলনা শব্দ থেকে এসেছে। খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর। - বরিশাল
বরিশাল একটি ঐতিহাসিক জেলা, যা প্রাচীন বাংলার অন্যতম সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল। বরিশালের নাম অনেকের মতে “বর্ষা” বা “বর্ষিত” শব্দ থেকে এসেছে। - সিলেট
সিলেট জেলা ভারতের সীমান্তে অবস্থিত এবং এখানে মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান রয়েছে। সিলেটের নাম “সিলত” শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হতে পারে একটি পুরানো শহর বা বসতি। - ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের নাম মুঘল শাসনামলের সময় গঠিত হয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, যেখানে কৃষিকাজ এবং শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। - রংপুর
রংপুর জেলার নামের ইতিহাস বেশ পুরনো, এবং এটি পূর্বের কাশী অঞ্চলের অন্তর্গত ছিল। রংপুরের নামের উৎপত্তি নানা সূত্রে বিভক্ত, তবে এর মূল কথা হলো এটি একসময় একটি শক্তিশালী কৃষি অঞ্চলে পরিণত হয়। - নোয়াখালী
নোয়াখালী জেলা মূলত একটি উপকূলীয় জেলা, যার নাম “নওয়াখালি” শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ “নতুন বাসস্থান”। - বগুড়া
বগুড়া বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক জেলা, যেটি প্রাচীন বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরী ছিল। বগুড়ার নামের ইতিহাস মুঘল শাসনামলে গঠিত হয়। - পাবনা
পাবনা জেলার নাম প্রাচীন বাংলা অঞ্চলের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। এর নামের ইতিহাস মুঘল যুগের সঙ্গে সম্পর্কিত। - গাজীপুর
গাজীপুর শহরের নামটি ‘গাজী’ শব্দ থেকে এসেছে, যেটি একজন যোদ্ধা বা সৈন্যকে বোঝায়, যার মধ্যে রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। - ফেনী
ফেনী জেলা বাংলাদেশের একটি ছোট শহর। এর নামের ইতিহাস মূলত পুরানো স্থানীয় ভাষা থেকে আসছে, তবে এতে অতীতের স্থানীয় শক্তি এবং শাসন রয়েছে। - শেরপুর
শেরপুর জেলার নাম “শের” বা বাঘ শব্দ থেকে এসেছে, যা প্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। - লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর জেলার নাম মূলত বাংলা শব্দ ‘লক্ষ্মী’ থেকে এসেছে, যা সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবী। - কুমিল্লা
কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক জেলা, যার ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কুমিল্লার নামটি প্রাচীন কুমিল্লা শহর থেকে এসেছে, যা মুঘল আমলে এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। - নাটোর
নাটোর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এর নামের ইতিহাস নিয়ে কিছু তত্ত্ব রয়েছে, তবে প্রচলিত মত অনুযায়ী, নাটোর একসময় একটি রাজকীয় শহর ছিল এবং এর নাম রাজা নাটু বা নাটোরির নামানুসারে হতে পারে। - ঝালকাঠি
ঝালকাঠি জেলার নাম ঝালকাঠি বা “ঝাল” (লবণ) থেকে এসেছে, যা একসময় এই অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক পণ্য ছিল। এটি একটি উপকূলীয় জেলা, যেখানে বাণিজ্য এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায় একসময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। - চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা “চাঁপাই” শব্দ থেকে এসেছে, যা মুঘল আমলের একটি প্রশাসনিক ও বানিজ্যিক শহরের নাম ছিল। এর সাথে “নবাবগঞ্জ” অংশটি মুঘল শাসনের সময়ের সাথে যুক্ত। - চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার নামের উৎপত্তি বেশ অদ্ভুত। এখানে একটি স্থানীয় উপকথা রয়েছে যেখানে বলা হয়, “চুয়া” (অথবা চুয়া/ঝুড়ি) শব্দের সঙ্গে “ডাঙ্গা” (মাঠ বা সমতল) যুক্ত হয়ে এটির নামকরণ করা হয়। - সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের নামের উৎপত্তি “সুন্নাম” (আর্থিক বা রাজনৈতিক সম্মান) এবং “গঞ্জ” (গাঁ) শব্দের সমন্বয়ে। এটি একটি প্রাচীন শহর, যা সিলেট অঞ্চলের অংশ। - টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল জেলার নামটি “টাঙ্গা” (একধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র) শব্দ থেকে এসেছে, তবে এর প্রাচীন নাম “তানগাইল” ছিল, যা একটি স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাম থেকে উদ্ভূত। - নওগাঁ
নওগাঁ জেলার নামের উৎপত্তি “নতুন গাঁও” বা নতুন গ্রাম থেকে হতে পারে। এটি বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি অঞ্চল। - মেহেরপুর
মেহেরপুর একটি জেলা, যার নামটি মূলত “মেহের” (ভালোবাসা) এবং “পুর” (পুরাণ বা পুরাণী স্থল) শব্দের সমন্বয়ে এসেছে। মেহেরপুর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। - খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি জেলার নামটি খাগড়াতে গাছ বা পাহাড় থাকার কারণে। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের একটি পাহাড়ি জেলা। - বান্দরবান
বান্দরবান জেলা নামটি “বান্দর” (বানর) এবং “বান” (স্থান) থেকে এসেছে, তবে এর আসল নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে আরও বিশদ তত্ত্ব রয়েছে। - পটুয়াখালী
পটুয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত, এবং এটি ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দর। পটুয়া শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে এবং তার মানে হলো ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ বা ‘প্রধান স্থান’। - মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের নাম “মানিক” (রত্ন) এবং “গঞ্জ” (গ্রাম) থেকে এসেছে। এটি একটি কৃষিপ্রধান জেলা, যেখানে শস্য উৎপাদন এবং কৃষির ইতিহাস অত্যন্ত পুরনো। মানিকগঞ্জ ঢাকা শহরের কাছাকাছি অবস্থিত এবং এটি মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত। - নীলফামারী
নীলফামারী জেলা নামটির উৎপত্তি “নীল” (নীলক্ষেত বা নীলকৃষি) এবং “ফামারী” (ফসল বা ভূমি) শব্দ থেকে এসেছে। এটি একসময় নীলচাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। এ অঞ্চলে নীলচাষের ইতিহাস একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। - গাইবান্ধা
গাইবান্ধা জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। এর নামের পেছনে একটি জনপ্রিয় কিংবদন্তি রয়েছে, যেখানে “গাই” (গরু) এবং “বান্ধা” (বন্ধন) শব্দের সংমিশ্রণে গাইবান্ধা নামের উৎপত্তি। এটি কৃষি প্রধান একটি জেলা। - বাগেরহাট
বাগেরহাট জেলার নাম “বাগ” (বাগান) এবং “হাট” (বাজার) থেকে এসেছে। এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল এবং এখানে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান এবং হাজার বছরের পুরোনো মসজিদ রয়েছে, যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থল হিসেবে তালিকাভুক্ত। - যশোর
যশোর জেলা একটি প্রাচীন শহর, যা অনেকগুলো পুরনো মহল ও দুর্গের জন্য পরিচিত। “যশ” (খ্যাতি) শব্দ থেকে যশোরের নাম এসেছে, যা একসময় বাংলার বিখ্যাত বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। - শ্রীমঙ্গল
শ্রীমঙ্গল জেলার নামটি “শ্রী” (ঐশ্বর্য) এবং “মঙ্গল” (মঙ্গলময় বা সুখী) থেকে এসেছে। শ্রীমঙ্গল চা বাগানের জন্য বিখ্যাত এবং “চায়ের রাজধানী” হিসেবে পরিচিত। এখানে অসংখ্য চা বাগান এবং পাহাড়ি ভূপ্রকৃতি রয়েছে। - পঞ্চগড়
পঞ্চগড় জেলার নামটি “পঞ্চ” (পাঁচ) এবং “গড়” (দুর্গ) শব্দ থেকে এসেছে। একসময় এখানে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ ছিল, যা স্থানীয় রাজকীয় এবং সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত। - রাজবাড়ী
রাজবাড়ী জেলা নামটি রাজা বা রাজ্যের সাথে সম্পর্কিত। এটি একসময় একটি রাজবংশের অধীনে ছিল, যেখানে রাজপরিবারের বসবাস এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো। - নড়াইল
নড়াইল জেলার নামের উৎপত্তি সম্ভবত “নড়” (হলো না, স্থিতি পরিবর্তন) থেকে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলা এবং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। - শরিয়তপুর
শরিয়তপুর জেলার নাম “শরিয়ত” (ধর্মীয় আইন) এবং “পুর” (স্থান) থেকে এসেছে। এখানে একসময় ধর্মীয় শাসন ও বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। - কাউখালী
কাউখালী নামটি “কাউ” (প্রশান্তি) এবং “খালী” (স্থান) শব্দ থেকে এসেছে। এটি একটি শান্তিপূর্ণ জেলা যেখানে কৃষি ও জলবায়ু প্রকৃতি একত্রে কাজ করে। - ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ জেলার নামের ইতিহাস একধরনের কিংবদন্তির সাথে জড়িত। এই অঞ্চলের নাম “ঝিনাই” (পবিত্র বা বিশুদ্ধ) এবং “ধ” (ধরা) শব্দের সংমিশ্রণ থেকে এসেছে, যা স্থানটির বিশুদ্ধতা এবং ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত। - কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম জেলার নামটির ইতিহাস অত্যন্ত পুরনো। “কুড়ি” (বিশাল নদী) এবং “গ্রাম” (গ্রাম বা বসতি) শব্দের সংমিশ্রণ থেকে এর নামকরণ হয়েছে, যেখানে প্রাচীনকালে অনেক নদী প্রবাহিত হত এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল সমৃদ্ধ। - মহম্মদপুর
মহম্মদপুর জেলার নাম “মহম্মদ” (পবিত্র নাম) এবং “পুর” (গ্রাম বা নগর) শব্দের সংমিশ্রণ থেকে এসেছে। এটি একটি ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ছিল এবং এখানে ইসলামি সংস্কৃতির প্রচলন ছিল গভীর। - ফরিদপুর
ফরিদপুর জেলার নাম “ফরিদ” (একটি নাম, সাধারণত ইসলামি উপাধি) এবং “পুর” (গ্রাম) শব্দ থেকে এসেছে। ফরিদপুর খুবই ঐতিহ্যবাহী শহর এবং এখানে কৃষি এবং সংস্কৃতির গাঢ় সম্পর্ক রয়েছে। - কাউনিয়া
কাউনিয়া জেলার নামের ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোনো নির্দিষ্ট সূত্র নেই, তবে এটি মূলত একটি কৃষিপ্রধান এলাকা এবং নদীসংকুল অঞ্চল, যেখানে অনেকগুলি গ্রামের বসতি রয়েছে। - চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, যা বিশেষত মৎস্যশিল্পের জন্য পরিচিত। চাঁদপুরের নামের উৎপত্তি “চাঁদ” (আলো) এবং “পুর” (নগর বা বসতি) শব্দ থেকে হতে পারে, যেখানে এটি একসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দর ছিল। - হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের একটি জেলা। এর নামের উৎপত্তি “হবি” (এক ধরনের বৃক্ষ) এবং “গঞ্জ” (গ্রাম বা বসতি) শব্দের সমন্বয় হতে পারে। এটি একটি কৃষিপ্রধান জেলা এবং পর্যটকদের জন্য একটি সুন্দর পাহাড়ি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। - কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। “কিশোর” (যুবক) এবং “গঞ্জ” (গ্রাম) শব্দের সমন্বয়ে কিশোরগঞ্জের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে। এই জেলা তার কৃষি এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। - ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও জেলার নামের উৎপত্তি “ঠাকুর” (ঈশ্বর বা দেবতা) এবং “গাঁও” (গ্রাম) থেকে এসেছে। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত, এবং ঐতিহ্যগতভাবে একটি কৃষিপ্রধান জেলা হিসেবে পরিচিত। - শাহজাদপুর
শাহজাদপুর জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি শহর। এর নাম “শাহ” (সাম্রাজ্য বা রাজা) এবং “জাদপুর” (গ্রাম বা স্থান) শব্দের সংমিশ্রণে এসেছে। এটি একসময় একটি রাজশাসিত অঞ্চল ছিল। - মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার জেলার নাম “মৌলভী” (ধর্মীয় গুরু) এবং “বাজার” (বাজার বা বাজারস্থান) থেকে এসেছে। এটি সিলেট বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা, যা চা বাগান, পাহাড়ি এলাকাগুলি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য পরিচিত। - মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জ জেলা নামের উৎপত্তি “মুন্সি” (শিক্ষিত ব্যক্তি বা শিক্ষক) এবং “গঞ্জ” (গ্রাম) থেকে। এটি একসময় একটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। - ঝালকাঠি
ঝালকাঠি জেলা দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশে অবস্থিত, এবং এর নাম “ঝাল” (লবণ) এবং “কাঠি” (কাঠ) শব্দের সংমিশ্রণ থেকে এসেছে। একসময় এই অঞ্চলে লবণ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা ছিল। - ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম “ব্রাহ্মণ” (ধর্মীয় শ্রেণী) এবং “বাড়িয়া” (গ্রাম বা বসতি) থেকে এসেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক জেলা, যেখানে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড এবং ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের বাস ছিল। - সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ জেলা একটি ঐতিহাসিক শহর, যেখানে একসময় সেনাপতির নাম “সিরাজ” এর সাথে “গঞ্জ” (গ্রাম) যুক্ত হয়ে এর নামকরণ হয়েছিল। সিরাজগঞ্জ নদীসংকুল একটি শহর, এবং এখানে ফসল উৎপাদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। - সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা জেলার নাম “সাত” (সপ্ত) এবং “ক্ষীর” (মিষ্টি বা তরল খাবার) শব্দ থেকে এসেছে। এটি সুন্দরবনের পাশ্ববর্তী একটি জেলা এবং মৎস্য এবং বনজ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। - গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ জেলার নাম “গোপাল” (গো-পালক, কৃষ্ণ দেবতা) এবং “গঞ্জ” (গ্রাম বা বসতি) থেকে এসেছে। এটি একটি কৃষিপ্রধান জেলা, যেখানে কৃষি ও মৎস্য শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। - কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেলার নাম “কুশ” (অথবা কুশতিয়া) শব্দ থেকে উদ্ভূত হতে পারে। এটি কবি নজরুল ইসলামের জন্মস্থান এবং বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। - নীলফামারী
নীলফামারী জেলার নাম “নীল” (নীলকৃষি) এবং “ফামারী” (ভূমি বা ফসলের ক্ষেত) থেকে এসেছে। এটি একসময় নীলচাষের জন্য পরিচিত ছিল এবং এর একটি কালো ইতিহাস রয়েছে। - রাঙামাটি
রাঙামাটি জেলার নামের উৎপত্তি “রাঙা” (লাল বা রঙিন) এবং “মাটি” (মাটি বা ভূমি) শব্দ থেকে এসেছে। এটি একটি পাহাড়ি জেলা, যেখানে সমৃদ্ধ বনাঞ্চল এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। - কক্সবাজার
কক্সবাজারের নাম “কক্স” (এক ব্রিটিশ কর্মকর্তার নাম) এবং “বাজার” (বাজার বা বাণিজ্যস্থান) থেকে এসেছে। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য পরিচিত, যা পর্যটকদের জন্য এক জনপ্রিয় গন্তব্য। - মাদারিপুর
মাদারিপুর জেলার নাম “মাদারি” (মা বা মাতৃ) এবং “পুর” (গ্রাম বা স্থান) থেকে এসেছে। এটি একটি কৃষিপ্রধান অঞ্চল এবং মৎস্য চাষের জন্য বিখ্যাত। - পার্বত্য রাঙামাটি
রাঙামাটি জেলার নামের উৎপত্তি হয়েছে “রাঙা” (লাল) এবং “মাটি” (ভূমি) শব্দের সমন্বয়ে। পাহাড়ি অঞ্চলের লালচে মাটির কারণে এটি এ নামে পরিচিত। পার্বত্য রাঙামাটি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত পাহাড়ি জেলা, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উপজাতীয় সংস্কৃতি একত্রিত হয়েছে। এ জেলার ইতিহাসে চাকমা এবং মারমা জাতিগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। - বান্দরবান
বান্দরবান নামটি এসেছে “বান্দর” (বানর) এবং “বান” (স্থান) শব্দের মিলন থেকে। বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলের একটি জেলা, যা তার পাহাড়ি সৌন্দর্য এবং উপজাতীয় সংস্কৃতির জন্য প্রসিদ্ধ। এটি পাহাড়ি চূড়া, জলপ্রপাত এবং ট্রেকিংয়ের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বান্দরবানে বসবাসকারী মারমা, চাকমা, এবং ম্রো জাতিগোষ্ঠী এ জেলার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। - জয়পুরহাট
জয়পুরহাট জেলার নাম এসেছে “জয়পুর” (একটি রাজ্যের নাম) এবং “হাট” (বাজার) শব্দের সংমিশ্রণ থেকে। এটি প্রাচীন বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। জয়পুরহাটের ইতিহাস পাল এবং সেন শাসনামলের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখানে প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির এবং স্থাপত্যের নিদর্শন দেখা যায়। - মাগুরা
মাগুরা জেলার নামের উৎপত্তি “মাগুর” (এক প্রকার মাছ) থেকে হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এটি একটি কৃষিপ্রধান জেলা, যেখানে মৎস্য চাষ এবং কৃষিকাজ গুরুত্বপূর্ণ। মাগুরা জেলার ইতিহাস মুঘল শাসনামল থেকে শুরু হয়ে ব্রিটিশ শাসনকাল পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং লোককথা রয়েছে, যা এ অঞ্চলের ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে।