সুস্থ থাকতে প্রতিদিন খান কলা, জেনে নিন কলার অজানা উপকারিতা
আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা বাড়বে বই কমবে না। আর যদি না বাসেন, তবে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। মুহূর্তের মধ্যে এনার্জি পেতে কলার জুরি মেলা ভার। কিন্তি তা ছাড়াও যে প্রচুর কাজ করে কলা। জেনে নিন কলার বহুগুণ-
আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা বাড়বে বই কমবে না। আর যদি না বাসেন, তবে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। মুহূর্তের মধ্যে এনার্জি পেতে কলার জুরি মেলা ভার। কিন্তি তা ছাড়াও যে প্রচুর কাজ করে কলা। জেনে নিন কলার বহুগুণ ।
সাধ্যের মধ্যে যদি শরীরের ক্যালরির চাহিদা যথাপোযুক্তভাবে মেটানো যায়, তবে কেমন হয়? হ্যাঁ, এটা অবশ্যই সম্ভব কলার উপকারিতা র মাধ্যমে। সাধারণত ফলমূলের মধ্যে কলা হলো একটি সহজলভ্য ও ক্যালোরিতে ভরপুর একটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ফল। কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, আয়রণ ও সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালরি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম।
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি এসব পুষ্টিগুণ ছাড়াও ফলটি হলো মুখরুচিকর। সুমিষ্ট ফল হওয়ায়, কলা খেতে অনেক ডায়াবেটিস রোগীরা ভয় পায়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কলা বেশ উপকারি ফল। যদিও শুনতে অবাক লাগে কিন্তু তবুও সত্য, পৃথিবীতে অনেক প্রকার রোগ বা অসুখ আছে যা মেডিসিনের চেয়ে কলা বেশি কার্যকারী। সব-সময় চটজলদি হাতের নিকটে মিলে যায় এই ফল। দামের দিক থেকে ফলের গুণাগুণ অনেক বেশি। মধু যেমন উপকারী তেমনি কলাও বেশ উপকারি। অবসাদে ভোগা কিছু মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কলা খেলে ভাল বোধ করেন তারা। কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। মুড অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।সার্বগ্রিকভাবে চিন্তা এবং যুক্তি দিলে কলা সহজলভ্যতা, সময়োপোযুগী এবং পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। সকল বয়সের এবং সকলেই কলা খেতে পারেন। ভুল ধারণাবশত অনেক এলার্জি দ্ধারা আক্রান্ত রোগী কলা এড়িয়ে চলেন কিন্তু এই ক্ষেত্রে কলার প্রতি তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল এবং ভিত্তিহীন। তাই যেহেতু করা একটি সহজলভ্য ফল, তাই নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং সকল বয়সের মানুষদের কলা খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর। কলা ভক্ষণের সময় এই দিকটি বিবেচনা করতে হবে।
কলার খাওয়ার উপকারিতা
হারানো শক্তি ফিরিয়ে আনতে কলা
কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি। সব রকমের পুষ্টিগুণ সঠিকভাবে কলাতে থাকায় অনেক সময় খেলোয়ারদের মাঠে কলা খেতে দেখা যায়। পরিশ্রম শেষে কলা খেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই হারানো বা ক্ষয় হওয়া দৈহিক শক্তি আবার ফিরে আসে।
রক্তচাপ
কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ নুনের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রুখতে পারে কলা। ইউ ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে
বিষণ্ণতা ও মানসিক চাপ রোধে কলা
পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য হিসেবে কলাতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং এমাইনো এসিড। বিষণ্ণতা দূর করতে এমাইনো এসিড ব্যাপক ভূমিকা রাখে এবং মানসিক চাপ বা হতাশা দূর করতে ম্যাগনেসিয়াম বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে। তাই বিষণ্ণতা ও মানসিক চাপ দূর করতে কলা খেতে হবে।
স্নায়ু
কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি যা স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি প্রয়োজনীয় কলা। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ব্লাডপ্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলা
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং সামান্য পরিমাণে লবণ থাকায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করা বেশ কার্যকারী। যেসব ব্লাডপ্রেসার রোগী দীর্ঘদিন যাবত উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, তারা কলা থেকে ভালো উপকার পেতে পারে।
আলসার
নরম ও মিহি হওয়ার জন্য পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী খাবার কলা। অত্যন্ত খারাপ পেটের রোগেও কলাই একমাত্র ফল যা নির্বিঘ্নে খাওয়া যেতে পারে। কলা অস্বস্তি কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে কলা
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন অন্তত একটি করে কলা খায়, তাদের স্মৃতিশক্তিতে অনেকটা পরিবর্তন লক্ষণ করা যায়। তাদের স্মৃতিশক্তি আগের চেয়ে সার্প হয়। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বাদাম এর মতোই করা বেশ উপকারি। তাই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে আমাদের প্রতিনিয়ত কলা খেতে হবে।
তাপমাত্রা নিয়নন্ত্রণ
অনেক দেশে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কলা ব্যবহার করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জ্বর হলে ওষুধের বদলে খাওয়ানো হয় কলা। তাইল্যান্ডে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
সন্তানসম্ভব্য নারীদের জন্য কলা
গর্ভকালীন সময়ে নারীদের খাদ্য খেতে হয়। এ সময়ে নারীরা অনেক অসুখের সম্মখীন হতে হয় এবং নানা রকম দূর্বলতায় ভুগতে হয়। সেজন্য সকালের দূর্বলতা কাটাতে নারীরা এই ক্ষেত্রে কলা খেতে পারে। কলাতে আছে শর্করা। যা দূর্বলতা কাটাতে সহায়তা করে।
কলা খাওয়ার সময়
কলা কখন খাবেন বা কখন খাবেন না? সাধারণভাবে একজন ব্যক্তি যেকোনো সময় তার উপযুক্ত সময় অনুযায়ী কলা খেতে পারে। এমনিতে কলা খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া বা ঠিক করা নেই। ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছার উপর অনেকটা ডিপেন্ড করে। তবে যদি বৈজ্ঞানিক বা গবেষকদের ভাষায় বলতে হয়, তাহলে কলা খাওয়ারও কিছু উপযুক্ত সময় আছে। আর এই উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে উপকারিতার উপর নির্ভর করে। এমনিতে স্বাভাবিকভাবে কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে ২ টি।
- সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা